সর্বপ্রথম কোন অঞ্চলের মানুষ লুঙ্গি পরিধান করার প্রচলন শুরু করে
লুঙ্গির আদি উৎস কোথায়?
এই বস্ত্রখন্ডটির জন্মভুমি ঠিক কোন ভুখন্ডে, সে প্রশ্নের জবাব খুজতে গেলে প্রথমে খানিকটা গোলমালে পড়তে হয় বিশেষজ্ঞ ও ইতিহাসবিদদের। তা বহু অনুসন্ধান করেও তারা একমত হতে পারেন নি। তবুও সবথেকে গ্রহণযোগ্য মতামত হচ্ছে দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু অঞ্চল ই ছিল লুঙ্গির আদি নিবাস। তবে ইতিহাসবিদদের অনেকে মনে করেন তামিলভূমিতে লুঙ্গি হাজির হয়েছে “মালয়” নামক দ্বীপপুঞ্জ থেকে। দক্ষিন ভারতের সংস্কৃতিতে লুঙ্গি এখনো এক বড় জায়গা দখল করে আছে। তবে আমাদের এই উপমহাদেশে বহু সম্পদায়ের কাছে লুঙ্গি খুবই জনপ্রিয় পোশাক।
লুঙ্গির আদি সংস্করণ
দূর অতিতকাল থেকে তামিলনাড়ুতে ভেশতি নামক পোশাক তৈরি হতো বলে প্রমান পাওয়া যায়। মসলিন কাপরের তৈরি সেই ভেশতি আকারে-প্রকারে ও পরিধান প্রক্রিয়া বিবেচনা করে ভেশতি কেই লুঙ্গির পূর্বসুরি হিসাবে গন্য করা হয়। এবং এই ভেশতি সে কালের ব্যাবিলনেও নাকি রফতানি করা হতো। এর প্রমান মিলে ব্যাবিলনের প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন থেকে। যেখানে “সিন্ধু” শব্দটি পাওয়া যায় তামিল ভাষায় এর অর্থ কাপড় বা পোশাক। “বারাদাভারগাল” নামক এক তামিল জেলে সম্প্রদায় ছিলো যারা এই লুঙ্গি রফতানি করতো প্রাচীন মিশর, মেসোপ্টেমিয়া ও পশ্চিম আফ্রিকায়।